ভারত যখন ভাঙলো । রক্তাক্ত ভারত । Roktakto Varot | Varot Zokhon Vanglo

ইসমাইল হুকার নলটি গোলাম হায়দারের দিকে ফিরিয়ে দিলো । তারপর সেখান থেকে উঠে শ্লথগামী বলদগুলোর পিঠে দু ঘা বসিয়ে দিল এবং আবার আগের জায়গায় এসে বসে পড়লো ।



গোলাম হায়দার হুকায় কয়েকটান দিয়ে বলল, "একটু পরে কেয়ারীটাও একবার দেখে এসো.. 

তুমি কি কোথাও যাচ্ছো ?

আমি একটু মজিদের খবরটা নিয়ে আসি। গতকাল পাটওয়ারীর হাত দিয়ে মাষ্টারজী পয়গাম পাঠিয়েছেন, বিগত দুদিন ধরে সে গরহাজির। আজ আমি তাকে খুব মেরেছি।

ইসমাঈল মুচকি হেসে বললো, মেরে কোন লাভ হবেনা। আমার মনে হয় তার সাথে তুমিও স্কুলে ভর্তি হয়ে যাও । আজ ভাইজান বাড়িতে আসবেন। আমি তাকেও বলবো যদি মজিদকে পড়াতে হয় তাহলে তার দেখাশুনা করার জন্য তার বাপকেও সঙ্গে রাখতে হবে।


ডাউনলোড(রক্তাক্ত ভারত নামে একই বই)

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৯.২৫ মেগাবাইট৯.৭৫ মেগাবাইট



পুরোনো ভার্সন ডাউনলোড
ভারত যখন ভাঙলো 

ভেঙ্গে গেলো তলোয়ার । Venge Gelo Tolowar

একদিন ফরহাত বালাখানার এক কামরায় বসে তাঁর পরিচারিকার সাথে কথা বলছেন। আচানক সিঁড়ির উপর  কার ছুটে আসার আওয়াজ শোনা গেল। দেখতে দেখতে বারো বছরের কাছাকাছি বয়সের একটি শ্যামবর্ণ বালক এসে কামরায় প্রবেশ করলো।

পরিচারিকা বললো: মুনাওয়ার, তুমি বড় নালায়েক হয়েছো। বিবিজী কতোবার তোমায় মানা করেছেন সিঁড়ির ওপর ছুটাছুটি করতে!

মুনাওয়ার পরিচারিকার জওয়াব না দিয়ে ফরহাতকে লক্ষ্য করে বললো: আজ এক মেহমান এসেছেন। খুব বড় লোক মনে হচ্ছে। এসেই তিনি ভাইজান আনওয়ার আলী ও ভাইজান মুরাদ আলীর কথা জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দীলাওয়ার আলী ও সাবেরের কথা জানতে চাইলেন। সাবের তো মরে গেছে।


শহীদ টিপু সুলতানের সত্যি ছবি

ফরহাত বললেন: তুমি তার নাম জিজ্ঞেস করনি?

: জ্বী, তিনি নিজেই বললেন তার নাম আকবর খান!

ফরহাতের কাছে এ খবর অসাধারণ! কয়েক মুহুর্ত তিনি নির্বাক হয়ে বসে রইলেন।

আকবর খান একটি কুরসীর ওপর বসে ভাবছিলেন। মোয়াযযম আলীর সাহচর্যের দিনগুলির অগণিত ঘটনা একে একে ভেসে যেতে লাগলো॥ তিনি সেরিংগাপটমে আসবেন আর সেখানে মোয়াযযম আলী থাকবেন না, তার শাহাদাতের খবর পাবার আগে কখনো মনে আসেনি। 


ফরহাত একটি শাদা চাদরে আবৃত হয়ে কম্পিত কণ্ঠে সালাম দিলো, ভাই, আকবর, আসসালামু আলাইকুম।

নসীম হিজাযীর অন্যতম শেষ্ঠ্র উপন্যাস খুন রাঙ্গা পথ এর ধারাবাহিকতায় টিপু সুলতানের প্রতিরোধ আন্দোলনের ইতিহাস এটি। ডাউনলোড করুন এবং শেয়ার করুন।

মোয়াযযম আলীর পরিবারকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে গিয়েছে ঘটনা প্রবাহ । একবার শুরু করলে শেষ করার আগ পর্যন্ত শান্তি নেই ।

ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
১০.৮০ মেগাবাইট১১.৪০ মেগাবাইট


পুরোনো ভার্সন



মরনজয়ী । দাস্তানে মুজাহিদ । Moronjoye । Dastan-e-Mujahid

মরণজয়ী নসীম হিজাযীর দাস্তান-ই-মুজাহিদ উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ। ইসলামের ইতিহাসের পঁয়ত্রিশ থেকে পঁচাত্তর হিজরী পর্যন্ত সময়কালের পটভূমিতে এটি রচিত হয়েছে। এই চল্লিশটি বছর ছিলো সত্যিকার অর্থে বিশ্ব-ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল যখন আলমে-ইসলামের সীমানা একদিকে স্পেন ছাড়িয়ে ফ্রান্সের পিরিনিজ পর্বতমালা, অপরদিকে ভারতবর্ষ পর্যন্ত, একদিকে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি, অপরদিকে মধ্য এশিয়ার তুর্কিস্তান তাতারস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এ ছিলো সেই অবিষ্মরণীয় সময়কাল যখন, মুহাম্মদ বিন কাশিম সিন্ধু জয় করেন, মুসা বিন নুসায়ের স্পেন জয় করেন আর কুতায়বা বিন মুসলিম মধ্য এশিয়া জয় করেন। ইসলামের শান্তিময় শীতল ছায়াতলে সারা বিশ্বের কোটিকোটি তপ্তহৃদয় দিগভ্রান্ত মানবতাকে নিয়ে আসেন বীরত্ব ও মমতার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে!


বসরার প্রায় বিশ মাইল দূরে একটি উর্বর সবুজে ঢাকা বাগিচার মাঝখানে একটি ছোট বসতি। তার ই একটি সাদাসিদা বাড়ির আঙিনায় এক মধ্যবয়স্কা নারী সাবেরা আসরের নামাজ পড়ছেন। আর একদিকে তিনটি বালক-বালিকা খেলাধূলায় ব্যষ্ত। বড় ছেলেটি ছড়ি ঘুড়িয়ে ছোট ছেলেটিকে বলছে, 'দেখো নয়ীম, আমার তলোয়ার!'
ছোট ছেলেটি তার ছড়ি দেখিয়ে বললো, 'আমারো আছে তলোয়ার। এসো, আমরা লড়াই করি।'
'না, তুমি কেঁদে ফেলবে।' বড় ছেলেটি বললো।
'না, তুমি-ই কেঁদে ফেলবে।' ছোটটি জবাব দিলো।
'তাহলে এসো' । বড়টি বুক ফুলিয়ে বললো।

নিষ্পাপ বালকেরা একে অপরের উপর হামলা শুরু করলো। মেয়েটি পেরেশান হয়ে তামাশা দেখতে লাগলো। মেয়েটির নাম উযরা, ছোট ছেলেটির নাম নয়ীম আর বড়টির নাম আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ নয়ীমের চেয়ে তিন বছরের বড়। তার ঠোঁটের ওপর লেগে আছে এক টুকরা মিষ্টি হাসি, কিন্তু নয়ীমের মুখ দেখে মনে হয় যেনো সে সত্যি-সত্যি লড়াইয়ের ময়দানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।


ডাউনলো

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৪.৭৪ মেগাবাইট৫.০৬ মেগাবাইট





পুরোনো ভার্সন

শেষ প্রান্তর । Sesh Prantor



গোবী মরুভূমির দূরন্ত মরুচারী তেমুজিন! ইতিহাসে তার পরিচয় চেংগিস খান! তার নেতৃত্বে মঙ্গোলিয়ার বর্বর বাহিনী জেগে উঠলো দূরন্ত ঝড়ের মত, সভ্যতার দীপশিখা নিভিয়ে দিতে লাগলো একটি একটি করে। ছয়শ' বছর আগে আরব মরু থেকে উঠে এসেছিলো যে মেঘছায়া, তা মানবতার উপর বর্ষন করেছিলো রহমতের বারিধারা। আর ছয়'শ বছর পর গোবীর মরুবুক থেকে উঠলো যে দূরন্ত ধূলিঝড়, তা থেকে বারিবর্ষণ হলোনা। হলো অগ্নিগিরির ধূম উদগীরণ, হলো উত্তপ্ত লাভার উদ্গীরণ!



সভ্য জগতের কাছে চেংগিস খানের কৌশল ছিলো সম্পূর্ণ নতুন। তাতারদের বিষ্ময়কর সাফল্যের মূলে ছিলো তাদের দূরন্ত গতি! ঘোড়ার নাঙ্গা পিঠের ওপর সওয়ার হয়ে তারা ছুটে বেড়াতো, প্রত্যেকের সাথে থাকতো কয়েকটি করে ঘোড়া, একটি ক্লান্ত হলে অন্যটায় চড়ে বসতো, ক্ষুধা ও পিপাসার জন্যও ওই ঘোড়াই তাদের জন্য ছিলো যথেষ্ট।যেকোন অভিযানে তাদের সাথে থাকতো খুবই সামান্য রসদ!

আব্বাসীয় খলীফাদের ঘুমে ঢুলুঢুলু অসতর্কতা আর অবিশ্বাস- কোন্দলের  জামানায় এলো এ তাতারি গজব! বাগদাদের বিতর্কসভার আলেম ওলামাদের আরাম-আলস্যের আমোদে আচানক প্রচন্ড রোষে হামলে পড়লো দুর্দান্ত মোঙ্গল তাতারীরা। তছনছ করে দিলো তখনকার স্বপ্ন সাধের সাজানো বাগদাদ...

তবে, ইতিহাসের এই চূড়ান্ত ক্রান্তিলগ্নেও আল্লাহর এক বান্দা বাগদাদের প্রান্ত থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশের অভ্যন্তর পর্যন্ত তাতারীদের সয়লাব রুখে দাঁড়ালেন। তিনি মুর্খ খারেজম শাহের দূরদর্শী বিজ্ঞ পূত্র, যুগের দুরন্ত মুজাহিদ, সত্যিকারের ঈমানদার জালালউদ্দিন!

চেঙ্গিস খান হালাকু খানদের বর্বরতার প্রতাপের পাশেই সমুজ্জ্বল বীরত্ব ও শাহাদাতের তামান্নায় সর্বস্ব কুরবানী করে ময়দানে ময়দানে বিজয়ের বার্তা বয়ে আনা জালালউদ্দিনের প্রতিরোধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করেই শেষ প্রান্তরের গল্প!


ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৮.৪৩ মেগাবাইট৮.৮৯ মেগাবাইট




পুরোনো ভার্সন

কিং সায়মনের রাজত্ব | সফেদ দ্বীপের রাজকন্যা


দশ লক্ষাধিক কৌতুহলী দর্শক স্যার জর্জকে বিদায় জানাবার জন্য সমবেত হয়েছিলো। উল্লাসে গগনবিদারী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল তারা। মহাশূণ্যে তীব্র গতিতে ছুটে চলা এক অগ্নিশিখা মুহূর্তে তাদের দৃষ্টির অগোচরে চলে গেল। 

ঘোষক বললেন, এখন রকেট এতদূরে চলে গেছে যে, তার আলো দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও আর দেখা যাচ্ছে না। মি. জর্জ এখন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে মহাশূণ্যে উড়ে চলছেন। 



এবার রকেটের স্টেশনের কন্ট্রোল রুম থেকে রেডিওর সাহায্যে মি. জর্জকে জরুরী নির্দেশ দিচ্ছেন এবং আপনারা তাদের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছেন। হ্যালো! হ্যালো! স্যার জর্জ! হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো! স্যার জর্জ আপনি জবাব দিচ্ছেন না কেন? আপনি কেমন আছেন? সুধী মন্ডলী! রকেট থেকে কোন কথা শোনা যাচ্ছেনা। মনে হয় স্যার জর্জ বেহুশ হয়ে পড়েছেন।

: আমি বেহুশ হইনি।
: তাহলে আপনি কথা বলছেন না কেন? স্যার জর্জ! দুনিয়ার কোটিকোটি মানুষ আপনার আওয়াজ শোনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আপনি তাদের নিরাশ করতে পারেন না। আপনার মানসিক অবস্থা কেমন আছে?
: এখন আমি একটা মজবুত হাতুড়ির প্রয়োজন বোধ করছি, স্যার জর্জের...


(কিং সায়মনের রাজত্ব বইয়ে দেখানো হয়েছে একটি জাতি কিভাবে নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে। কিভাবে সে নিজের ভাগ্যের জন্য নিজেই দায়ী) 

এই বইটি আরেকটি প্রকাশনী থেকে" সফেদ দ্বীপের রাজকন্যা"নামে প্রকাশ পেয়েছে ।

ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৬.০০ মেগাবাইট৬.৪৪ মেগাবাইট


পুরোনো ভার্সন

মানুষ ও দেবতা । Manush O Debota

শ্রাবণ মাস। সুরমা নদীতে প্রবল স্রোত। নদীর কিনারায় কয়েকটি ছোট নৌকা তীরবর্তী বড়বড় পাথরের সঙ্গে বাঁধা আছে। বেগবতী নদীর স্রোতে নৌকাগুলো দুলছে। নিকটেই নদীতীরে  কয়েকজন মাঝি নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলাবলি করছে। একজন বুড়ো মাঝি কপালে হাত রেখে বিশাল নদীর অপর তীরের দিকে একবার দেখে পিছন ফিরে জনৈক সুদর্শন যুবককে জিজ্ঞেস করল, 'মহারাজ! সেনাপতিজী কি আজই আসবেন?'



সামরিক পোশাক পরিহিত সুদর্শন যুবককে একজন অফিসার মনে হচ্ছিল। সে জবাবে বলল, 'হ্যাঁ, তিনি সম্ববত এখনই এসে যাবেন'।

বুড়ো মাঝি বলল, "মহারাজ! আপনি তাকে বুঝিয়ে বলবেন, এ খরস্রোতা নদীতে নৌকা চালানো  খুবই বিপজ্জনক। দু'দিন অপেক্ষা করলেই ঢলের জল কমে যাবে। আর তখন নিরাপদে পাড়ি দেয়া সম্ভব হবে"।

যুবক বলল, "তুমি সেনাপতি সুখদেবকে জান না । তিনি কখনও সামান্য বিপদ আপদের ভয়ে মত পরিবর্তন করেন না"। 





ডাউনলোড করুন

চূড়ান্ত লড়াই । Curanto Lorai




ইতিহাসের এক কিংবদন্তী..
তিনি...
এক দিগ্বিজয়ী বীর, যার তলোয়ার কখনো ঝংকৃত হয়েছে তুর্কিস্তানে, আবার কখনো ঝলসে উঠেছে হিন্দুস্তানের মাটিতে। যার ঘোড়া কখনো জাইহুন, আবার কখনো গঙ্গার পানি পান করেছে।

তিনি...
জীবন চলার গৌরবোজ্জ্বল পথে ঐ সব মুসাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাদের কাফেলা এক স্থানে স্থায়ী ন হয়ে দুশমনের সকল বধার বিন্ধ্যাচল ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেত দূরে-বহুদূরে।


তিনি...
এমন এক ব্যক্তিত্ব, যার ডায়রীতে বিশ্রাম শব্দটি স্থান পায়নি কোন কালে, দেশ জয়ের দুরন্ত নেশায় কেবল ঘোড়া ছুটিয়েছেন দেশ-দেশান্তরে। পাহাড়, সাগর, অরণ্য মাঠ তাঁর চলার পথে কোনদিন অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। নাম তাঁর সুলতান মাহমুদ গজনবী।

চূড়ান্ত লড়াই...
সেই কালজয়ী ব্যক্তিত্বের কাহিনী, গজনী জলপ্রপাত থেকে জন্ম নেয়া সংহার মূর্তি ধারণকারী শক্তি স্রোত; সমুদ্র বক্ষের মাঝে ফুঁসে ওঠা তর্জন-গর্জন যার সামনে এসে শান্ত হয়ে যেত। যার পাহাড়সম বিশাল ব্যক্তিত্ব চলার পথের তামাম উপল খন্ডকে ভাসিয়ে নিয়ে যেত।

ভারতীয় উপমহাদেশে নিম্নবর্ণের হিন্দু ও নিরীহ বৌদ্ধদের ওপর উচ্চবর্ণ হিন্দু শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নিপীড়ণ ও পুরোহিতশ্রেণীর ধর্মের আবরণে অবর্ণনীয় সন্ত্রাসের প্রতীক সোমনাথ মন্দির কেন্দ্রীক ঐতিহাসিক সত্যের মুখোমুখি উপন্যাস চূড়ান্ত লড়াই...
ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৮.৫০ মেগাবাইট৯.১৫ মেগাবাইট

হেজাযের কাফেলা । Hezazer Kafela






বসন্ত কাল। যতদূর দৃষ্টি যায় কেবল সবুজের সমারোহ। ডান দিকে দৃষ্টির শেষ সীমানা পর্যন্ত সবুজ ক্ষেত-খামার। বাতাসে নাচছে গমের শীষ। বায়ে ফোরাতের পারে লতাগুল্ম ঘেরা গভীর অরণ্য।

হাসান প্রবেশ করলো এ এলাকায়। অনেক পথ হেঁটে ফসলের ক্ষেত আর বাগান পেরিয়ে গাঁয়ের বস্তি ছাড়িয়ে কেল্লার মত এক বাড়ির কাছে পৌঁছল ও। ডুবে যাচ্ছিলো সূর্য। বাইরের মাঠে খেলা করছিলো বালকেরা। এদিক ওদিক তাকিয়ে ও এগিয়ে গেল ফটকের কাছে। ভেতর থেকে ভেসে এল কুকুরের ঘেউঘেউ। কিছুক্ষণ এক ধরনের অস্থিরতা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সে। তারপর দরজায় কড়া নেড়ে ডাকলো:''কেউ আছেন?"



...ভেতরে ঢুকতে যাবে এমন সময় এক বুড়ো চাকর দরজায় মাথা গলিয়ে প্রশ্ন করলো: কে তুমি?
: আমি হাসান। কোব্বাদের সাথে দেখা করতে চাই।

... গম্ভীর কণ্ঠে বলল হাসান, '' বোনের অনাবিল হাসির কথা সব সময়ই বলতো জাহাদাদ। আমার দুর্ভ্যাগ্য, আমি কোন খুশির খবর নিয়ে আসিনি।
স্তম্ভিত হয়ে হাসানের দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে রইলো মাহবানু।
: তুই বলতে এসেছো জাহাদাদ আর ফিরে আসবে না?

মাথা নত করে বলল হাসান: হায়, আমার কোন তদবীর যদি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারতো!
: তুমি যদি বলো, রোমানদের কয়েদখানায় বন্দী আমার ভাই, অশ্রুর বদলে আমি হাসিমুখে স্বাগত জানাবো।
: আফসোস, যদি তা বলতে পারতাম!
: তুমি কি নিশ্চিত তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন?
: অন্তিম নি:শ্বাস পর্যন্ত আমি তার সাথে ছিলাম।

নসীম হিজাযীর আরেকটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ডাউনলোড করুন এবং শেয়ার করুন। যারা কায়সার ও কিসরা বইয়ে রোম-পারস্যের দ্বন্দ্বের ইতিহাস পড়েছেন, তারা এখানে পাবেন তার পরবর্তি গল্প। ইসলামের শান্তিময় নিরাপত্তার দূত মুক্তির-কাফেলার রোম-পারস্যে প্রবেশ ও বিজয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক উপন্যাস।


ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৯.৪৫ মেগাবাইট১০.১০ মেগাবাইট


পুরোনো ভার্সন

 হেজাযের কাফেলা- ভার্সন ১ ডাউনলোড-সাইজ ৪৪mb

 হেজাযের কাফেলা- ভার্সন ২ ডাউনলোড-সাইজ ২৭mb

 হেজাযের কাফেলা- ভার্সন ৩ ডাউনলোড-সাইজ ১১mb

সীমান্ত ঈগল । Shimanto Eagle । স্পেনের ঈগল । Spaner Egale

পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে এলো পঞ্চাশজন ঘোড় সওয়ার। ঘন বন পেরিয়ে নদীর ভাংগা পুলের কাছে থামল ওরা। নদীর ওপারে বন আরো গভীর। উপত্যকায় জংলী গাছের সাথে আংগুরলতা, আপেল, নাশপাতি আর হরেক ফলের গাছ দেখে বুঝা যায়, কোন কালে এ অরণ্য এক সুদৃশ্য বাগান ছিলো। পুলের ওপাশে রাস্তার দুধারে গাছের ডালপালা ভাঙা সড়কটাকে ছাদের মত ঢেকে রেখেছে। ঘাস আর গুল্মলতা জড়িয়ে রেখেছে সড়কের ভাঙা ইট-পাথর। দেখলেই বুঝা যায়, এ সড়কে মানুষের পা খুব কমই পড়ে।

নদীটা গভীর নয়। সড়ক ছেড়ে কয়েক পা নিচে নামলে সহজেই নদী পেরোতে পারে সওয়াররা। কিন্তু সামনের দু'জন কি ভেবে পুলের কাছে পৌঁছেই পেছন ফিরে সওয়ারদের থেমে যেতে ইশারা করলো। 



দলের সকলেই যুদ্ধসাঁজে সজ্জিত। 

...কালো ঘোড়সওয়ার জবাব দিলো, "তবে বিদ্রোহীদের সাথে যে আচরণ করা হয় তেমনটি করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। সে আমাদের দুশমনদের কাছ থেকে তার নিজের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। সে যদি শুধু এই সীমান্ত রক্ষার জিম্মা বহন করে, তবে তার আজাদীর সম্মান আমরা অবশ্যই করবো"।

"যদি আমাদের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়?"

"তবু আমরা তার ওপর কোনরূপ হস্তক্ষেপ করবো না। শুধু এ আফসোস নিয়েই এখান থেকে বিদায় হবো যে, এক অসামান্য ব্যক্তিত্বকে গ্রানাডার সামরিক বাহিনীতে শামিল করতে পারলাম না।"

বনের মধ্যে একটা হরিণকে ঘুরতে দেখে এক সওয়ার ধনুক তাক করতেই আচমকা এক অপ্রত্যাশিত তীর এসে কাছেই গাছে বিঁধলো। তীরের সাথে একটা চিঠি। দুজন সওয়ার এগিয়ে খুলে নিলো চিঠিটি। কাগজে লেখা আছে, "নদীর অপর তীর সীমান্ত ঈগলের অধীন। এই চারনভূমি মুজাহিদদের ঘোড়ার জন্য নির্ধারিত। এ বনের ফল ও শিকার ধরার অধিকার শুধু তাদের ই আছে স্পেনের জমিনকে যারা পরাধীনতার নাগপাশ হতে মুক্ত করতে চায়। গ্রানাডার কেবল ঐ লোকেরাই এ জমিনে পা রাখতে পারবে যারা মুজাহিদদের জামায়াতে শামিল হতে চায়।"

স্পেনের পটভূমিতে নসীম হিজাযীর আরেকটি অনন্যসাধারণ উপন্যাস সীমান্ত ঈগল।   

ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৭.৫৮ মেগাবাইট৮.০৩ মেগাবাইট




পুরোনো ভার্সন

ইউসুফ বিন তাশফীন । Yusuf Bin Tashfin




বাপকা বেটা : 

এক বাচ্চা ছেলে দশাসই এক লোকের হাত ধরে ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছে । আগে আগে যাচ্ছে দুই কিশোর । লোকটি ডেকে বলল, 'সাদ, আহমদ, দাঁড়াও'।

সাদ ও আহমদ বাগানের ভাঙা দেয়ালটার কাছে পৌছে ডাক শুনে দাঁড়িয়ে পড়লো । লোকটার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি । সে তার বিশাল দেহটা নিয়ে ওদের কাছে এসে বলল, 'হাসান খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে' ।

আলমাস চাচা, আমরা আজ মদিনাতুজ জোহরা দেখে যাব ।কি হাসান! তুমি কি খুব কাহিল হয়ে পড়েছো ? 'বললো বড় ছেলেটি ।

হাসান কোন জবাব না দিয়ে মুখ কালো করে এক পাথরের ওপর বসে পড়লো । তীর ধনুক নামিয়ে রাখল মাটিতে... (প্রথম চাপ্টার)

খন্ড-বিখন্ড স্পেন :
হিজরী পঞ্চম শতাব্দীতে স্পেনের মুসলমানরা ইতিহাসের এক শোচণীয়পর্যায় অতিক্রম করছিলো । উমাইয়া শাসনের জৌলুস তখন বেশ ভাটা পড়েছে । যে বিশাল সাম্রাজ্যেরশক্তি ও দাপট পাশ্চাত্যের সম্রাটদেরকে সারাক্ষণ ভয়ের মধ্যে রাখতো আত্মকলহের কারনে সে সাম্রাজ্য খন্ড বিখন্ড হয়ে গিয়েছিলো .. (দ্বিতীয় চাপ্টার)

কর্ডোভা, টলেডো ও সেভিল :
সেভিলের বাদশাহ মুতামিদ ও টলেডোর বাদশাহ মামুন জান্নুন অন্যান্য খন্ড-রাজাদের চেয়ে শক্তিশালী ছিলো । তারা উভয়েই নিজেদেরকে স্পেনের সম্রাটতুল্য ভাবত এবং মনে করত কর্ডোভা দখল করার করার অধিকার একমাত্র তারই আছে । এর ফলে , মুসলিম শাসিত কর্ডোভার একপাশে মুতামিদ ও অন্য পাশে মামুন জান্নুন সৈন্য সমাবেশ করল । অবরোধ করার পর প্রথম যে প্রশ্নটি..(তৃতীয় চাপ্টার)


পরিস্থিতির আরো অবনতি : 
আলমাস প্রতিবারই গ্রানাডা এসে ফসল ও বাগ-বাগিচার সমুদয় আয় সকিনার কাছে দিয়ে হিসাবপত্র দেখার জন্য পীড়াপীড়ি করতো । সকিনা বলতো, ‘না আলমাস! ওটা তুমিই দেখো, আমার দেখার কোন প্রয়োজন নেই ।’ আলমাস রেগে গিয়ে সাদ কে বলতো, ‘দেখো সাদ! তুমি এখন বেশ বড় হয়েছো । এখন তেকে তোমারই উচিত হিসাবপত্র যাচাই করে দেখা।’...(চতুর্থ চাপ্টার)

মুজাহিদ বাহিনী :
গ্রানাডা ফিরে আসার কয়েক দিন পরেই সাদ বিন আব্দুল মুনীম সর্বোচ্চ ফৌজি তালিম শেষ করে সনদ নিয়ে বেরিয়ে এলো । এ সনদপ্রাপ্তরা সাধারণত সামরিক বাহিনীতেই যোগদান করতো। কিন্তু সাদ ‘নাম কা ওয়াস্তে ’ সৈণ্য বাহিনীতে যোগদান করায় আগ্রহী হলোনা ..(পঞ্চম চাপ্টার)

ডাউনলোড

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কগুগলড্রাইভ লিঙ্ক
৯.০০ মেগাবাইট৯.৬৫ মেগাবাইট

কায়সার ও কিসরা । Kaysar O Kisra





আদী ও তার ছেলেরা ওমরকে খুঁজতে বেরিয়েছে এক প্রহর আগে । প্রদীপের ক্ষীণ আলোয় বসে আছে সামিরা । তার ডাগর আঁখিতে বেদনার ছাপ । সামিরা দুহাত উপরে তুলে দরদমাথা কণ্ঠে প্রার্থণা করছিলো : "ওগো মানাত! প্রথিবীর কোন কিছুই তো তোমার কাছে গোপন নেই । ভাইজান কোথায় আছে তা তুমিই জানো..."


..আসেম ভেবেছিলো ওমরকে পৌঁছে দিয়েই ফিরে যাবে সে । শান্তির দিনগুলো শেষ না হলেও আওসের কারো পক্ষে বনু খাজরাজের সীমায় পা রাখা নি:সন্দেহে অবাঞ্চিত ঘটনা...


....ইউসিবার প্রশ্নের জবাবে ইরজকে বিস্তারিত বলতে হলো, "মিসর থেকে সংবাদ পেয়েছি, আসেমের খোজ পাওয়া যাচ্ছেনা..." ইউসিবা চমকে তার দিকে তাকালো.. কিন্তু ইউসিবাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বেড়িয়ে গেলো ইরজ । ....


নীলনদের উপত্যকা বেয়ে দক্ষিণ দিকে চলছিলো ইরানী লশকর......


*.*.*.*.*.*.*.*.*.*



..... কায়সার ও কিসরা হলো আজ হতে পনেরো শতক পূর্বে আরবে দ্বীন ইসলামের আবির্ভাবের সময়কার রোম ও পারস্যের প্রেক্ষাপটের এক অবিষ্মরনীয় ঐতিহাসিক উপন্যাস । কায়সার ও কিসরা যারা পড়েনি, তারা ওই সময়টার পৃথিবীকে চেনে কেবল মক্কা-মদীনা দিয়ে । মুহাম্মাদ সা: এর জন্ম থেকে শুরু করে নবুওয়্যাত - দাওয়াত - নির্যাতনের শিকার হওয়া - হিজরত - যুদ্ধবিজয় - বদর ওহুদ খন্দক - আলী- ওমর - আবুবকর - আব্বাস - হামজা -সালমান ফারসী .. মুসলিম ঘরে ঘরে এই তো গৎবাঁধা পরিচিত ঘটনাপণ্জী । কায়সার ও কিসরা যারা পড়বে তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন এঙ্গেল থেকে রুদ্ধশ্বাস আনন্দে জানতে পারবে সেই সময়টাকে ! কসম করে বলছি, এই বইটার প্রথম পাতা থেকে শুরু করে চারশত পনেরো পাতায় পৌছানোর আগে পর্যন্ত কোন পাঠক বই ছেড়ে উঠতে পারবেনা । 


ইয়াসরিব (মদীনা) এর বনু আওস গোত্রের এক যুবক আসেমকে নিয়ে শুরু হয় গল্পটা । এও এক নতুনত্ব । আজ পর্যন্ত সীরাতুন্নবী কিম্বা আরবের ইতিহাসের অন্য কোন গল্প এভাবে শুরু হতে দেখিনি । অস্ত্র কেনার জন্য ঋণ দিয়ে, কখনো রাতের আধারে একগোত্রের বাগানে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে, কখনো গুপ্ত হত্যা করে বনু আওস ও বনু খাজরাজের রক্তাক্ত শত্রুতায় ইন্ধন যুগিয়ে ইয়াসরিবের প্রভাবশালী বিচারক গোষ্ঠীতে পরিনত হয় চিড়দিনের ষড়যন্ত্রকারী ইয়াহুদীরা । 


আরবে কণ্যাশিশুর পিতা হবার অপমানের জ্বালা জুড়াতে জীবন্ত কবর দেয়ার কথা তো এতদিন কেবল বর্ণনা পড়ে এসেছি । কায়সার ও কিসরায় পেলাম তার মর্মস্পর্শী গল্পগাঁথা । 


যারা ভাবছেন, আমরা নবীর জীবনী জানি, আরবের ইতিহাস জানি, নতুন করে সেগুলো পড়তে বিরক্ত লাগবে, তাদের বলছি, এ উপন্যাসে আরবের অংশটা বড় সামান্য । খুব অল্প সময় এটা আরবে থাকে । চলে যায় রোমে - চলে যায় পারস্যে ! সিরিয়া - হেজাজের শহরগুলোতে সরাইখানায় বা যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে - সমুদ্রবন্দরগুলোতে - রাজপথ থেকে রাজপ্রসাদগুলোতে - বস্তিগুলোতে , পাহারে, উপত্যকার সংকীর্ণ রাস্তাগুলোতে- কখনো উষর মরুর উটের চামড়ায় গড়া তাবুগুলোতে। রোম আর পারস্যের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে চিরদিন পিষ্ট হয় সাধারন অসহায় মানুষগুলি । রোম বা পারস্য কারো বিজয় বা পরাজয়ই তাদের ভাগ্যকে একচুল পরিবর্তন করতে পারেনা 


গল্পের পরতে পরতে পাঠকের মনে শান দিয়ে যাবে আইয়্যামে জাহেলিয়ার বিভৎস অন্ধকার । মানবতার ডুকরে ডুকরে কান্নার ফোপানি । সারা দুনিয়া জুড়ে... অসংখ্য অসংখ্য নাটকীয় বাস্তব ঘটনাপঞ্জী! উপন্যাসটা পড়তে পড়তে চরমতম কট্টর মানুষও বুঝতে পারবে, পৃথিবীর ওই কঠিনতম সময়ে নবী মুহাম্মাদ সা: এর ইসলাম ই ছিলো মুক্তির একমাত্র উপায় ! অযুত নিযুত মানুষ জ্ঞাতসারে কিম্বা অজ্ঞাতসারে অপেক্ষা করছিলো মুক্তির সূর্য ইসলামের । 


চরম বিশৃংখল লন্ডভন্ড একটা পৃথিবী শুরু হয় বইয়ের শুরু থেকে । সেই বিশৃংখলা থেকে মুক্তি পেতে অথবা সেই বিশৃঙ্খলার স্রোতে গা ভাসিয়ে অসহায়ভাবে সাতরে চলতে চলতে গল্পের শেষটায় গিয়ে আবিষ্কার হয়, অলৌকিক এক বাস্তবতার । গল্পের নায়ক আসেম, যার উক্তি ছিলো, কখনো সম্ভব নয় এই ভূখন্ডে শান্তি আনবার, সে যখন জীবন নিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে আরব থেকে বহু বহু দূরে, তখন আরবে ঘটে চলে অসংখ্য অভূতপূর্ব ঘটনা যা পাঠেরা আগেই জানে বলে এ উপন্যাসে একেবারেই আসেনি । আসেনি বলেই বড় আফসোস হয় আসেমের জন্য ! সে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে - রোম পারস্যের অসংখ্য ঝড়ঝাপ্টার অভিজ্ঞতা নিয়ে একসময়ে ফিরে আসে জন্মভূমিতে, এসে খুজে পায়না পুরোনো দিনের দেখে আসা আওস খাজরাজের কুটিল শত্রুতার লেশমাত্র! 


সবাই বইটা পড়লে আমার বড় ভালো লাগবে । আমি যে আনন্দ পেয়েছি বইটা পড়ে, যে নতুনত্ব পেয়েছি, যে অদ্ভুত স্বাদ পেয়েছি, কেউ তা থেকে বঞ্চিত হোক, তা চাইনা । 


*.*.*.*.*.*.*.*.*.* 


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

'আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সা: এর পক্ষ থেকে ইরান সম্রাট কিসরার নামে। তাকে সালাম, যে হেদায়াতের অনুসরণ করে । আল্লাহ এবং তার রাসুলের উপর ঈমান আনার পর ঘোষণা করে যে আল্লাহ এক, একক । তিনি আমাকে সমগ্র বিশ্বের নবী করে পাঠিয়েছেন ।প্রতিটি মানুষকে তিনি আল্লাহর ভয় দেখাতে পারেন । যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ কর শান্তি পাবে। আর যদি ফিরে যাও তবে প্রজাদের সকল দায় দায়িত্ব তোমার'
 


দোভাষী সম্রাটকে চিঠির ভাষা বুঝাচ্ছিলো । দরবারীদের হাসি চেপে রাখা ছিলো বড় মুশকিলের ব্যাপার । .....


*.*.*.*.*.*.*.*.*.* 


পারভেজ গ্লাস দেয়ালে ছুড়ে মারলেন। দারোগা তখন তাকে তার সেনাপতি সীনের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরীর খবর দিচ্ছিলো । 

: সে মানুষের সামনে আমার অপমান করেছে । তার চামড়া তোলার পূর্বে টেনে জিহবা ছিড়ে ফেলার উচিত ছিলো
: তাকে বেশিক্ষণ চিতকার করার সুযোগ দেয়া হয়নি । 
: আমার ব্যাপারে সে কি বলেছিলো ?
ও বলছিলো আরবের এক নবীর ভবিষ্যঁবানী সত্য হবার সময় হয়ে এসেছে ।
:তোমার কথা আমি বুঝিনি..
: আলীজাহ! আরবের সে নবীর ভবিষ্যতবানী হলো কিছুদিনের মধ্যে রোমানরা বিজয়ী হবে! ধুলায় মিশে যাবে ইরানীদের জুলুমের হাত । 

*.*.*.*.*.*.*.*.*.* 


নীরবে উভয়ে পথ চলতে লাগলো । হঠাৎ থেমে আসেম বললোম, সরাইখানার ব্যবসায় আমি তৃপ্ত । আমি শুধু বেচে থাকতে চই।
:না, বর্তমানকে নিয়ে তুমি তৃপ্ত থাকতে পারোনা । আমার বিশ্বাস হঠাৎ তোমার বিবেক তোমাকে সচেতন করে তুলবে ।
: কস্তুনতুনিয়ার লাখো মানুষ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমি কিছু করতে পারি, আপনি আমায় কোনদিন বলেন নি ।
: শুধু অপেক্ষা করতে পারো আসেম, তাতারীদের রক্তের পিপাসা মিটাতে পারবেনা ওরা কেউ। 


*.*.*.*.*.*.*.*.*.* 


: ক্লেডিস ফ্রেমসের সাথে খানিক আলাপ করে আসেমের দিকে ফিরে বলল , আসেম, হেরাকলে আমরা খুব শিঘ্রী একটা মেলার আয়োজন করেছি । আমরা কস্তুনতুনিয়ার সব বন্ধুরা ওখনে চলে যাচ্ছি । কয়েকদিনের ভেতরে তুমিও চলে আসো । 


*.*.*.*.*.*.*.*.*.* 


ওহ ! বলা হয়নি , গল্পের নায়িকার নাম ফুস্তিনা । টুকরো টুকরো কিছু কথোপকথোন তুলে দিয়ে আমি সবার আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করে গেলাম । জানিনা কতটা পেরেছি । 


*.*.*.*.*.*.*.*.*.* 

আরবের নবীর ভবিষ্যৎবানী । যা তিনি করেছিলেন রোমানদের বিজয়ের ব্যাপারে অথচ ইরানীদের আক্রমনে বিশাল রোমান সাম্রাজ্য তখন শুধুমাত্র সবশেষ আশ্রয় কস্তুনতুনা গিয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে পারভেজের করুনার ভিখারী হয়ে গিয়েছিলো । পেছন দিক থেকে তারা আক্রান্ত হত জংলী তাতারীদের । এসময়ে পারভেজ তার সেনাপতি সীন কে হত্যা করলো অন্যায়ভাবে । ঘুরে গেলো ইতিহাসের ভাগ্যের চাকা । ..

আলিফ-লাম-মীম৷ রোমানরা নিকটবর্তী দেশে পরাজিত হয়েছে এবং নিজেদের এ পরাজয়ের পর কয়েক বছরের মধ্যে তারা বিজয় লাভ করবে৷ ক্ষমতা ও কতৃত্ব আগেও আল্লাহরই ছিল৷ পরেও তাঁরই থাকবে। আর সেদিনটি হবে এমন দিন যেদিন আল্লাহ প্রদত্ত বিজয়ে মুসলমানরা আনন্দে উৎফুল্ল হবে । আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী ও মেহেরবান৷ আল্লাহ এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আল্লাহ কখনো নিজের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধাচরণ করেন না৷ কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না৷ (সূরা আর-রূম : আয়াত ১-৬)
 


রোমানদের বিজয়ের সাথে সাথেই ৩১৩ জনের মুসলিম বাহিনীও বদরে বিজয়ী হয়ে অসম্ভব সে ভবিষ্যৎবানীকে সত্যে পরিনত করে চমকে দিলো বিশ্ববাসীকে । চমকে দিলো ইতিহাসকে । বইটা পড়লেই বুঝা যাবে, এ ভবিষ্যৎবানী কতটা উদ্ভট আর হাস্যকর মনে হবার কথা ছিলো... 


লেখক : ব্লগার স্বর্ণলতা 


                                      pdf document: Kaiser O Kisra Nasim-Hizazi.pdf

নসীম হিজাযীর সকল ঐতিহাসিক উপন্যাস ডাওনলোড



হিজাযীর জীবনী

আমি যখন কাবা শরীফে পৌঁছলাম- তখন সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। রহমতের বৃষ্টি। আমার যে কলম দিয়ে 'কায়সার ও কিসরা' লিখেছিলাম, সেটাকে প্রথমে আবে জমজমে চুবালাম। পরে তা মিজাবে রহমতের সেই জায়গাটিতে রাখলাম, যেখানে পানির ধারাটা এসে পড়ছে..-নসীম হিজাযী

তার জন্ম অখন্ড ভারতে। ১৯১৪ সালের ১৯শে মে তৎকালীন গুরুদাসপুর জেলার সুজানপুর গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। তার আসল নাম মোহাম্মদ  শরীফ। ১৯৬৩ সালে প্রথম নসীম হিজাযীর বই বাংলায় ভাষায় প্রকাশ পায়।








 নসীম হিজাযীর বইসমূহ

ক্রমনামমিডিয়াফায়ার 
আর্কাইভ
গুগলড্রাইভ 
আর্কাইভ
পরিচিতি
ভারত যখন ভাঙলো
অন্য নামঃ রক্তাক্ত ভারত
ডাউনলোডদেখুনক্লিক
ইউসুফ বিন তাশফিন
অন্য নাম - মরু সাইমুম
ডাউনলোড
ডাউনলোড
দেখুন
দেখুন
ক্লিক
চূড়ান্ত লড়াইডাউনলোডদেখুনক্লিক
আঁধার রাতের মুসাফিরডাউনলোডদেখুনক্লিক
শেষ বিকেলের কান্নাডাউনলোডদেখুনক্লিক
কায়সার ও কিসরাডাউনলোডদেখুনক্লিক
সীমান্ত ঈগলডাউনলোডদেখুনক্লিক
মরনজয়ী
অন্য নামঃ দাস্তানে মুজাহিদ
ডাউনলোড
ডাউনলোড
দেখুন
দেখুন
ক্লিক
খুন রাঙা পথডাউনলোডদেখুনক্লিক
১০মুহাম্মাদ বিন কাশিমডাউনলোডদেখুনক্লিক
১১মানুষ ও দেবতাডাউনলোডদেখুনক্লিক
১২শেষ প্রান্তরডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৩ভেঙ্গে গেল তলোয়ারডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৪হেজাযের কাফেলাডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৫ইরান তুরান কাবার পথেডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৬লৌহমানবডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৭কিং সায়মনের রাজত্ব
অন্য নামঃ সফেদ দ্বীপের রাজকণ্যা
ডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৮তেত্রিশ কোটি দেবতার  দেশেডাউনলোডদেখুনক্লিক
১৯অপরাজিতডাউনলোডদেখুনক্লিক
২০রক্ত নদী পেরিয়েডাউনলোডদেখুনক্লিক


সব বই একবারে ডাউনলোড